মুসলিম Set of Beliefs এর বাকী কিছু পয়েন্ট
السلام عليكم ورحمة الله و بركاته
আমরা আবার মুসলিম ধর্মবিশ্বাসের [বা আক্বীদার] পয়েন্টগুলোতে ফিরে যাবো ইনশা’আল্লাহ্! আমরা প্রথম ৩২টি পয়েন্ট তুলে দিয়েছিলাম। আজ ইনশা’আল্লাহ্ পরের কয়েকটি তুলে দেবো:
৩৩)কুর’আন আল্লাহর বাণী। এটা তাঁর কথা(speech) – যা কিভাবে সম্ভব হয়েছে তা জানা নেই। তিনি রাসূলের কাছে অহী হিসেবে এটা পাঠিয়েছেন। মু’মিনরা পরম সত্য হিসেবে এটাকে গ্রহণ করে। তারা নিশ্চিত যে সত্যিই এটা আল্লাহর কথা। এটা সৃষ্ট নয় – যেমন মানুষের কথা হয়ে থাকে, এবং যে এটা (অর্থাৎ কুর’আন) শোনে এবং দাবী করে যে, এটা মানবীয় ভাষণ, সে অবিশ্বাসীতে পরিণত হয়। আল্লাহ্ তাকে সতর্ক করেন, বিধিনিষেধ আরোপ করেন এবং আগুনের ভয় দেখান যখন তিনি বলেন, ‘আমি তাকে আগুনে পোড়াবো’ (আল মুদ্দাস্সির, ৭৪:২৬) যখন আল্লাহ্ তাদের আগুনের ভয় দেখান যারা বলে, ‘এটা শুধুমাত্র মানুষের বাণী’ (আল মুদ্দাস্সির, ৭৪:২৫)। আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পারি যে, এটা মানবজাতির প্রতি সৃষ্টিকর্তার বাণী এবং এটা সম্পূর্ণই মানবজাতির ভাষণের বিপরীত।
৩৪)যে আল্লাহর বর্ণনা মানুষের মত করবে, সে অবিশ্বাসী। যারা এই ব্যাপার বুঝবে, তারা খেয়াল করবে এবং অবিশ্বাসীদের মত কথা বলা থেকে বিরত থাকবে, এবং তারা জানবে যে তিনি, তাঁর সমস্ত গুণাবলী সহ, মানুষের মত নন।
৩৫) ‘জান্নাতের অধিবাসীগণ কর্তৃক আল্লাহকে দেখা’ সত্য, তাদের দৃষ্টি/দর্শন সবকিছু পরিবেষ্টন করা ব্যতীত এবং তাদের দৃষ্টি/দর্শনের প্রকৃতি কেমন তা জানা ব্যতীত। যেমন আমাদের রবের কিতাবে প্রকাশিত হয়েছে: ‘সেদিন চেহারাসমূহ উজ্জ্বল হবে, তাদের রবের দিকে তাকিয়ে’। (আল কিয়ামাহ্ ,৭৫:২২-২৩)। এর ব্যাখ্যা তেমনটিই, যেমন আল্লাহ্ জানেন এবং ইচ্ছা করেন। আমাদের কাছে সবকিছুই রাসূল (সা.)-এরঁ মাধ্যমে এসেছে – যা সহীহ হাদীসে আছে, যা তিনি বলেছেন এবং যা তিনি বলতে চেয়েছেন। সেটাকে আমাদের মর্জিমত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বা আমাদের কল্পনার রাশ আলগা করে দিয়ে – আমরা তা নিয়ে গবেষণা করি না। কেউ তার ধর্মে নিরাপদ নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে, যিনি সর্বোচ্চ এবং প্রশংসিত, এবং তাঁর রাসূলের কাছে, এবং সমস্ত সন্দেহজনক বিষয়ের জ্ঞান তার উপর অর্পণ করে, যে তা জানে।
আল্লাহ্ হাফিজ!