আস সালামু আলাইকুম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মূল বক্তব্যে যাবার আগে
অধিকার ও
মর্যাদা শব্দ দু'টিকে একটু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন ৷
‘অধিকার’ শব্দটিকে ইসলামী স্কলাররা সবসময় আরেকটি শব্দের সাথে সম্পৃক্ত বলে সনাক্ত করেছেন - সেটা হচ্ছে
‘দায়িত্ব’৷ ইসলামী জীবনবিধান ও worldview-তে তাই যেখানেই অধিকারের প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই দায়-দায়িত্বের কথাও এসেছে ! উদাহরণস্বরূপ - একজন পুরুষকে ইসলাম, তার মৃত পিতার সম্পত্তিতে, তার বোনের প্রাপ্য উত্তরাধিকারের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ করার ‘অধিকার’ দিয়েছে - কিন্তু সেই সঙ্গে, ঐ বোন বা মা-কে আমৃত্যু দেখাশোনা করার দায়-দায়িত্বও সেই পুরুষের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ৷ আবার দেখুন, সন্তানের উপর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত অধিকার বা হক থাকে, ইসলামী বিশ্বাস মতে বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের যে ঋণ, তা কখনোই শোধ হবার নয় - কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই অধিকার অর্জিত হয়, সন্তান প্রতিপালনের কঠোর দায়-দায়িত্ব পালনের বিনিময়ে ৷ এভাবে অন্যান্য সব ব্যাপারের মতই, একজন নারীর বেলায়ও অধিকার ও দায়িত্বের এই
"যুগ্ম হিসাব নিকাশ" প্রযোজ্য ৷ সুতরাং, ইসলাম নারীকে কতটুকু অধিকার দিয়েছে, সেটা সব সময় তার উপর অর্পিত দায়-দায়িত্বের বিপরীতে ওজন করে দেখতে হবে - তা না হলে, হিসাব নিকাশে মারাত্মক ভুলের অবকাশ থেকে যাবে - যেমনটা পশ্চিমা ইসলাম বিশেষজ্ঞদের বেলায় ঘটেছে ৷ পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা তাই মৃতের পুত্র সন্তানের তুলনায়, কন্যা সন্তানের অর্ধেক উত্তরাধিকারের দোষ ধরেছেন - কিন্তু ঐ উত্তরাধিকার থেকে, কন্যা সন্তানদের একটি পয়সাও কারও জন্য খরচ করার দায়-দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভের বিরাট সুবিধাটুকু চোখে দেখেন নি ৷ আমাদের দেশের নাস্তিকতাবাদী আঁতেলরাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে, ঐ একই দোষে দুষ্ট - তাদের একজন এ বিষয়ে বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ নাকি অংকে কাঁচা (নাউযুবিল্লাহ্)!! এটা হয়তো তাদের জন্য স্বাভাবিকও ৷ দোষ ধরার পূর্ব-নির্ধারিত মনোভাব নিয়ে যখন কেউ কিছু পর্যবেক্ষণ করবেন, তখন বিষয়টার গুণাগুণ তার চোখ এড়িয়ে যেতেই পারে ৷
(more…)