“যাকাতুল ফিতর” বা ফিতরার পরিমাণ

যারা “যাকাতুল ফিতর” এর পরিমান জানতে চান তাদের জন্য একটা লেখা তুলে দিলাম, যা তারা সরাসরিও দেখতে পারেন । দুঃখিত, লেখাটা ইংরেজীতে। তবে এটুকু ইংরেজী ইনশা’আল্লাহ্ এই ব্লগের সবাই পড়তে পারবেন! Question: What is the amount of food that we are supposed to give as Zakâh al-Fitr? I know it is supposed to be one sa’. But I am hearing conflicting accounts of what a sa’ is. Please clarify this for me. [Answered by the Fatwa Department Research Committee - chaired by Sheikh `Abd al-Wahhâb al-Turayrî] Answer: Zakât al-Fitr becomes due at the…continue reading →

বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বক্তৃতার একটি

ব্লগিং প্রায় ছেড়েই দিয়েছি অনেকদিন। কেন? এই প্রশ্নের সবচেয়ে সৎ ও সংক্ষিপ্ত উত্তর হবে: “ভালো লাগে না!”। তবু, সময় পেলে কখনো সখনো আগে যে ব্লগগুলোতে লিখতাম, সেগুলোতে একটা “চক্কর” দিয়ে যাই। আজ সেভাবেই একটা ব্লগে “চক্কর” দিতে গিয়ে একটা লেখা চোখে পড়লো: Best Speech Ever । লেখক যা বলতে চেয়েছেন, তা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এরকম একটা শিরোনাম দেখলে অনেকেই হয়তো আশা করবেন যে, ইতিহাসের পাতার শীর্ষে যাঁরা স্থান করে নিয়েছেন, তাদের কারো কোন বক্তৃতা হয়তো থাকবে ঐ লেখায়। তবে পড়তে গিয়ে দেখা যাবে একটা “চুটকি” বা “জোক” রয়েছে সেখানে। আবারও,.. লেখকের ব্যক্তিগত পছন্দ নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। তবে শিরোনামের শুরুতে একটা “The” বসতে পারতো – তাতে হয়তো শিরোনামটা আরো সুন্দর হতো – ব্যস এটুকুই বলার আছে। (more…)

মিলাদুন্নবী পালনের বিধান

মিলাদুন্নবী পালনের বিধান - ১

মূল:শায়খ ড. সালিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, কল্যাণ ও শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ(সা.) এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের ওপর। কুরআন এবং সুন্নাহতে খুব স্পষ্টভাবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের নির্দেশাবলী অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ধর্মীয় ব্যাপারে নতুন কিছু সূচনা করাকে স্পষ্টত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন: “বলুন [হে নবী]: যদি তোমরা সত্যিই আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমার অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।” (সূরা আলে ইমরান, ৩:৩১) “তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল হয়েছে, তোমরা তার [কুরআন ও সুন্নাহ] অনুসরণ কর, আর তাঁকে [আল্লাহ] ছাড়া আর কোন আউলিয়ার [সেই সব সত্তা যারা আল্লাহর সাথে শরীক করার নির্দেশ দেয়] অনুসরণ করো না...” (সূরা আল আরাফ, ৭:৩) (more…)

করণীয়/বর্জনীয়

করণীয়/বর্জনীয় - ১

১৮ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১০
আমাদের পাড়ার মসজিদের ৩ নং হুজুর, অনেক সময়ই কোন এক ওয়াক্তের নামাজের পর “বাকী নামাজের পরে বারান্দায় মিলাদ আছে, যে যে পারেন শরীক হতে চেষ্টা করবেন”—এ ধরনের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। আমি কখনোই সেই ’যে যে পারেনের’ দলে থাকতে পারিনি, তবে অনুমান করতে পারি যে, ঐ সব মিলাদ খুব সম্ভবত, কারো পরীক্ষায় ভালো করার জন্য দোয়া চেয়ে, অথবা পরীক্ষায় ভালো করার পর শুকরিয়া জানিয়ে, বা কারো রোগমুক্তির জন্য দোয়া চেয়ে, অথবা কোন মৃত স্বজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বা একই ধরনের কোন উপলে আয়োজিত। আমি ভাবতে চেষ্টা করেছি যে, কি ধরনের মানসিক অবস্থায় কোন মিলাদের আয়োজক, অর্থাৎ যিনি মিষ্টি ইত্যাদি বা ঐ মিলাদের আনুষঙ্গিক খরচ বহন করছেন, তিনি এই ’ভাবগম্ভীর’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছেন? আমি উপরে যে কারণগুলোর কথা উল্লেখ করছি, সে সব কারণে যদি তিনি মিলাদের আয়োজন করে থাকেন, তবে ধরে নিতে হবে যে, তিনি একজন বিশ্বাসী — কারণ, তার কোন উপস্থিত জাগতিক প্রাপ্তি নেই ঐ খরচের বিনিময়ে — তিনি “বিশ্বাস” করছেন যে, তার ঐ পুণ্যময় আয়োজনের বিনিময়ে আল্লাহ্ তাকে কিছু একটা দেবেন। একজন অবিশ্বাসীর জন্যও মিলাদের আয়োজন করা সম্ভব, তবে তা হবে কোন তাৎক্ষণিক জাগতিক অর্জনের জন্য, যেমনটা ধরুন “জনগণকে” ফু্সলাতে ভোটের মৌসুমে কোন অবিশ্বাসী তাগুত নেতাও মিলাদের আয়োজন করতে পারেন। (more…)

জীবনের countdown

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা! আমরা হয়তো খেয়াল করি না বা ভেবে দেখার অবকাশ নিই না যে, জন্মলগ্ন থেকে আমাদের জীবনে এক ধরনের countdown শুরু হয়ে যায়। যার আয়ু ৬০ বছর, তার জীবন "রাফ" হিসাবে ১৮৯,২১,৬০,০০০ সেকেন্ডের সমষ্টি। সুতরাং ব্যাপারটা এরকম যে, অদৃশ্য কোন ডিজিটাল ঘড়িতে বুঝিবা তার জীবনের countdown শুরু হয়েছিল ১৮৯,২১,৬০,০০০ থেকে - এখন হয়তো ৯,২১,৬০,০০০-তে পৌঁছেছে - তার অজান্তে কমতে কমতে '০'-তে পৌঁছালেই সবশেষ! NASA-র মহাকাশযানের launchpad থেকে মহাকাশযানগুলোর যেমন উৎক্ষেপন হয়, তেমনি আমাদের দেহের launchpad থেকে প্রাণগুলো যাত্রা করবে অসীমের পানে - one way journey! এভাবে ভাবলে, কোন মুসলিম তার জীবনের সাধারণ দিনরাতগুলোও হেলা ফেলায় কাটাতে পারে না! আর রামাদান মাস হচ্ছে বিশেষ একটা সময় - অন্য সময় কেউ যদি তার জীবনের সময়রূপ নিয়ামত হেলা-ফেলায় নষ্ট করেও থাকে, তবে তা compensate-করার একটা চমৎকার সুযোগ আসে এসময়ে। অথচ, এই ব্লগের কত মুসলিম ভাই-বোনেরা কত তুচ্ছ ও অর্থহীন বাক-বিতন্ডায় এই পবিত্র রামাদান মাসের অমূল্য সময়গুলো কাটিয়ে দিচ্ছেন। নীচে উদ্ধৃত হাদীসটা একটু খেয়াল করে পড়ুন: (more…)

সাধারণ মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি লিংক

এখনকার দুঃসময়ে, আমরা সাধারণ ও "নাম মাত্র" মুসলিমরা, নিজেদের দ্বীন, অর্থাৎ, ইসলাম সম্বন্ধে বলতে গেলে কিছুই জানি না। অথচ, অনেকেরই উত্তরাধিকার অথবা অভ্যাসবশত ইসলামের প্রতি এক ধরনের মমত্ববোধ থাকে। কোন একটা ইস্যুতে যখন কাফির-মুশরিক-নাস্তিকরা,** ইসলাম বা ইসলামকে-ভালোবাসা কোন মুসলিমের উপর চড়াও হন, তখন তাদের হৃদয়ে একধরনের রক্তক্ষরণ হয়। অথচ, তারা বোঝেন না, বা ভেবে পান না যে, কোথায় গেলে তারা একটু আশ্রয় পাবেন - কে তাদের মনে নাস্তিক-সৃষ্ট সংশয় বা সন্দেহগুলো নিরসন করে একটু প্রশান্তি এনে দেবে। এই তো দু'দিন আগেও হঠাৎই একটা ফিৎনা দেখা দিল। সারা জনমের জানা তথ্যের ভিত যেন নড়ে উঠলো - একদম অনাকাঙ্খিত একটা গোষ্ঠী থেকে কেউ "ফতোয়া" দিতে চাইলো: ইসমাঈল (আ.) নন বরং ইসহাক (আ.)-কে কুরবানী করার কথা ছিল। (more…)

ইব্রাহিম, ইসমাঈল ও ইসহাক (আ.) সম্বন্ধে মুসলিমদের জ্ঞাতব্য

আগের কথামত, "সামু"র সকল মুসলিম ভাই-বোনদের অবগতির জন্য, ইসলামর উপর প্রশ্নোত্তরের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাটা-বেস Islam Q&A থেকে আমি একটা দলিল অনুবাদ করে নীচে তুলে দিলাম: ========= কোন ছেলেকে কুরবানী দেয়ার কথা বলা হয়েছিল? প্রশ্ন: আমি জানি যে, মুসলিম বিশ্বাসমতে নবী ইব্রাহীম(আ.) তার ছেলে নবী ইসমাঈলকে(আ.) কুরবানী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু একজন অমুসলিম, যার সঙ্গে আমার কথাবার্তা হয়েছে, তিনি উল্লেখ করলেন যে, ব্যাপারাটা কুরআনে বলা নেই। ব্যাপারটা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে মনে হল যে, কোন ছেলেকে কুরবানী করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সে ব্যাপারে কুরআনে কিছু বলা নেই(অন্তত আমার কাছে যে ইংরেজী অনুবাদটা আছে, সেটার ৩৭ নম্বর সূরায় আমার তেমনই মনে হলো)। দয়া করে নবী ইব্রাহীম(আ.) এবং তিনি যে কুরবানী করতে চেয়েছিলেন, সে ব্যাপারে মুসলিমদের অবস্থানটা দলীল-প্রমাণ সহকারে ব্যাখ্যা করুন। জাযাকাল্লাহু খাইর। (more…)

মুসলিমদের সংযত আচরণ

আমি এই নিকে "আমার ব্লগে"ও লিখি। আমার ব্লগে প্রগতিশীল ও সুশীলদের অন্যতম প্রধান characteristic হচ্ছে এই যে, তারা সাধারণত অবিশ্বাসী বা সংশয়বাদী এবং তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে পারেন। ইসলাম সম্বন্ধীয় যে কোন লেখাকেই তারা, একরকম গায়ে পড়েই, হাস্যকর কিছুতে পরিণত করতে সচেষ্ট হন এবং অনেক ক্ষেত্রেই লেখকদের শেষ পর্যন্ত "ছাগু", "রাজাকার" ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেন। গালি গালাজের দিক থেকে সামুতে অবস্থাটা অনেক ভালো - এখানকার পরিবেশ রীতিমত "ভদ্রজনোচিত" বলা যায় । এখানকার নাস্তিকরাও অনেক পরিশীলিত - যদিও যে কোন মুসলিমকে মুহূর্তে "তুই-তুকারি" করতে বা "ছাগু", রাজাকার" ইত্যাদি বলতে তারাও পিছ পা হন না। মুখে গণতন্ত্রের মুখোশ আঁটা থাকলেও - তাদের মন মত কিছু না হলেই My way, or no way মনোভাবটা মুহূর্তে প্রকট হয়ে ওঠে। এসব সত্ত্বেও আমি বলবো (ইসলামী ব্লগগুলো ছাড়া) বড় ব্লগগুলোর ভিতর সামুর পরিবেশই সবচেয়ে ভদ্র, মার্জিত আর লেখাগুলোও বেশীরভাগ মোটামুটি মান সম্পন্ন! তবুও দেখুন একজন ভদ্র ছেলে ইসলাম সম্বন্ধীয় আমার একটা লেখায় (www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29187816 ) সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে দুঃখ করে কি বলেছেন: (more…)

সত্যিকার মুসলিম হতে চাইলে সস্তা আবেগ অবশ্যই বর্জনীয়

লেখালেখির বয়স যত বাড়ছিল, আমার ততই মনে হচ্ছিল যে, আগের আবেগী লেখাগুলো না লিখলেই বোধহয় ভালো ছিল। যদিও এটা ঠিক যে, ইসলামকে ভালোবেসেই আমার প্রথম কলম ধরা। ইসলামের বা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সকল অন্যায়ের প্রতিকারের দায়-দায়িত্ব বুঝি আমার একার ঘাড়েই বর্তায় - এমন একটা সুপ্ত অনুভূতিও হয়তো বা মনের কোন গোপন কোণে বাসা বেঁধে থাকবে। জ্ঞান ছাড়া ঈমান বা ঈমান ছাড়া জ্ঞান - স্কলাররা বলে থাকেন যে, দু’টোই খুব বিপজ্জনক। আমার জীবনের প্রথম দিকের লেখা-লেখিগুলি একাধারে আবেগী ও “বিপ্লবী”ও বলা যায় - না, রাজনীতির ভাষায় “বিপ্লবী” বলতে যা বোঝায় তা নয় - আমি বলবো অনুভবের দিক থেকে “বিপ্লবী”। “সঠিক জ্ঞান” আর “নানান দোষে দুষ্ট জ্ঞানের” ভিতর তফাৎ করার মত জ্ঞান আমার তখন ছিল না! আমরা সবাই হয়তো জীবনে এরকম একটা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – ২

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] এই সিরিজের আগের লেখাটা রয়েছে এখানে: www.somewhereinblog.net/blog/mariner77/29183267 আমরা ইনশাল্লাহ্ রাসূল (সা.)-এঁর ৪টি প্রধান ভূমিকা সামনে রেখে আলোচনা করবো : (more…)

রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ – ১

[এই পোস্টটা, যারা seriously ইসলাম সম্বন্ধে জানতে চান, তাদের জন্য। আমরা যখন প্রায় "নাস্তিক" একটা মস্তিষ্ক নিয়ে বড় হচ্ছিলাম, তখন চাইলেও ইসলাম সম্বন্ধে জানার তেমন সুযোগ ছিল না - বলা যায়: আজকের মত সহজলভ্য source বা resource কোনটাই তখন ছিল না। আজ তাই যারা "searching souls" - তাদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে বড় ইচ্ছা করে।] রাসূলের (সা.) ভূমিকাসমূহ ……একটু গবেষণা করলে দেখা যবে যে, রাসূল (সা.)-এঁর গুরুত্ব, তিনি মুসলিম জাতির জন্য যে সমস্ত ভূমিকা পালন করেন, সে সবের মাঝে নিহিত। এই ভূমিকাগুলো সুন্নাহ ও হাদিসকে অনুসরণ করার অপরিহার্যতাকে আরো বেশী করে প্রতিষ্ঠিত করে। বহু স্কলার এইসব ভূমিকাকে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। নবী (সা.)-এঁর বহুবিধ ভূমিকা সম্বন্ধে যদিও আলোচনা করা যেত, তবুও আমরা এখানে কেবল তাঁর চারটি প্রধান ভূমিকা সম্বন্ধে আলোচনা করব : (more…)

হাদীস শব্দটির অর্থ, হাদীসের গঠন ও প্রকারভেদ

হাদীস শব্দটির অর্থ আভিধানিক ভাবে ‘হাদীস ’শব্দটির অর্থ হচেছ : নতুন, সাম্প্রতিক, নতুন ভাবে অস্তিত্বলাভকারী, প্রথম বারের মত, আগে যা ছিল না …. তথ্য, একটা তথ্য বিশেষ, মেধা, ঘোষণা …একটা জিনিস বা ব্যাপার , যা নিয়ে কথা বলা হয় , যা বলা হয় ,অথবা বর্ণনা করা হয় …। কুর’আন এবং হাদীস দুটোতেই, শব্দটি একটি ধর্মীয় যোগাযোগ, একটা সাধারণ কাহিনী, একটা ঐতিহাসিক কাহিনী, এবং একটা ঘটমান কাহিনী বা কথোপকথন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে ৷ পারিভাষিকভাবে একটা হাদীস হচ্ছে মূলত রাসূল (সা.)-এঁর যে কোন বর্ণনা – তার কথা কাজ এবং নীরব সম্মতি, আচরণ, শারীরিক বৈশিষ্ট অথবা জীবন বৃত্তান্ত সংক্রান্ত যে কোন বর্ণনা ৷ অন্য কথায়, হাদীসের স্কলাররা যেভাবে সুন্নাহর সংজ্ঞা দিয়ে থাকেন, সেই অনুযায়ী সুন্নাহ সংক্রান্ত যে কোন বর্ণনাই হচ্ছে হাদীস ৷ (more…)

রামাদানে রোজা রাখা

রামাদানে রোজা রাখা -১ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আস সালামু আলাইকুম রামাদানে রোজা রাখা – ইসলামের ৫টি স্তম্ভের একটি। আমরা ইনশা’আল্লাহ্ কয়েকটি পোস্টে এই ব্যাপারটা বিস্তারিত আলাপ করবো। তবে, আজ শুধু দৈনন্দিন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত, সাধারণ কিছু কথাবার্তা বলবো। রামাদানের পবিত্রতা রক্ষা করুন” বলে একটা স্লোগান প্রায়ই শোনা যায় বা এই লেখা সম্বলিত ব্যানারও প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু এটা হালে কেবল একটা ”বাম্পার স্টিকার” বা সুন্দর বাক্যের স্টিকারে পরিণত হয়েছে। রামাদানে আসলে একমাসের “পবিত্রতা রক্ষার” যে প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন হয় (বা হবার কথা), তাই দিয়ে গোটা বছর সুন্দর, সুস্থ ও পবিত্র একটা জীবন যাপন করার ইচ্ছা হবার কথা এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করারও কথা। কিন্তু আমরা কি ব্যাপারগুলো বুঝি বা সেসব নিয়ে চিন্তা করি? আমাদের, বিশেষত, নাগরিক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উপর, রামাদানের প্রভাব কতটুকু? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে রামাদানের শেষে ঈদ উপলক্ষে নির্মিত ছায়াছবি, টেলিফিল্ম, বিশেষ নাটক, বিনোদোন অনুষ্ঠান ইত্যদির দিকে তাকিয়ে দেখাই যথেষ্ঠ। সেভাবে দেখলে, রামাদানকে, অশ্লীলতার “দৌড় প্রতিযোগীতা” শুরু হবার ঠিক আগের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, জিরিয়ে নেয়ার সময় বলে মনে হতে পারে। (more…)

জিহবার রক্ষণাবেক্ষণ করা

জিহবার রক্ষণাবেক্ষণ করা -১ আস সালামু আলাইকুম! মূল: ইমাম নববী মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন: মানুষ যে কথাই উচচারণ করে, তার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে ৷” (সূরা কাফ:১৮) এবং তিনি বলেন: অবশ্যই তোমার প্রতিপালক সতর্ক দৃষ্টি রাখেন ৷” (সূরা আল-ফজর:১৪) আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি, আল্লাহকে স্মরণ করার গ্রহণযোগ্য জিকিরের সে সমস্ত পদ্ধতি – যেগুলো আল্লাহ আমার জন্য সহজ করেছেন ৷ আমি সেই সাথে একজন মানুষের বক্তব্যের বা কথাবার্তার নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয় দিকগুলো তুলে ধরতে চাচ্ছি ৷ সুতরাং, সেগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরবো, যা সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলিমের সচেতন থাকা উচিত ৷ (more…)

আমাদের দোয়া কেন কবুল হয় না

একবার একদল লোক ইব্রাহীম বিন আধম (রহ.)-এঁর [সিরিয়ায় বসবাসকারী, কুফীয় বংশোদ্ভূত স্কলার (??-৭৭৭ খৃস্টাব্দ)] কাছে জড়ো হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, "আল্লাহ্ কুরআনে বলেন: 'আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবোতাহলে কেন তিনি সাড়া দেন নি?” ইব্রাহীম(রহ.) বললেন, "হে বসরার লোকজন, তোমরা ১০টি বিষয়ে ধ্বংস হয়ে গেছো: - তোমরা আল্লাহকে স্বীকার কর, কিন্তু তাঁকে তাঁর প্রাপ্য দাও না। - তোমরা আল্লাহর কিতাব পড়, কিন্তু সেই অনুযায়ী কাজ কর না। - তোমরা দাবী কর যে, তোমরা রাসূল (সা.)-কে ভালোবাসো, কিন্তু তোমরা তাঁর সুন্নাহ্ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছো। - তোমরা দাবী কর যে, শয়তান তোমাদের শত্রু, কিন্তু তোমরা কাজেকর্মে তোমরা তার সাথে ঐক্যমত পোষণ কর। - তোমরা বল যে, তোমরা জান্নাতে যেতে চাও, কিন্তু সে জন্য কাজ কর না। - তোমরা বল যে, তোমরা জাহান্নামকে ভয় কর, কিন্তু তোমরা নিজেদের তার ভিতরেই আবদ্ধ রেখেছো। - তোমরা মৃত্যুর বাস্তবতাকে স্বীকার কর, কিন্তু তার জন্য প্রস্তুতি নাও না। - তোমরা অন্যদের দোষ-ত্রুটি নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত থাকো, কিন্তু নিজের দোষ ত্রুটি ভুলে থাকো। - তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিয়ামত ভোগ কর, কিন্তু সেজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না। - তোমরা তোমাদের মৃতকে সমাহিত কর, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর না। (more…)

দশটি সম্পদ যা আমরা অপচয় করে থাকি

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ السلام عليكم ورحمة الله و بركاته [মূল পয়েন্টগুলো হাফিজ ইবনুল কায়্যিম(রহ.)-এঁর (৬৯১-৭৫১ হিজরী) রচনা থেকে]: ১. আমাদের জ্ঞান জ্ঞান অনুযায়ী কাজ না করে এর অপচয় করা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, আপনি জানেন যে, ধূমপান ক্ষতিকর, কিন্তু আপনি সিগারেট খেয়েই চলেছেন। এই ক্ষেত্রে, আপনি আপনার [ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কিত] জ্ঞানের অপচয় করলেন। (more…)

ঈদ উপলক্ষে মসজিদ সাজানো

আস সালামু আলাইকুম! রাসূল (সা.)-এঁর ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী, আমরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইহুদী ও খৃস্টানদের অনুকরণ করে চলেছি। আমাদের ভাব গম্ভীর ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদকেও আমরা "আনন্দ-ফূর্তি" ও অপচয়ের প্রতিযোগিতায় পরিণত করে প্রায় "বড়দিনের" পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। আজকাল এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মসজিদকে আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। আসুন দেখা যাক এসম্বন্ধে স্কলাররা কি বলেন: (more…)

এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের অধিকার

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم এক মুসলিমের উপর অন্য মুসলিমের ৫টি হক্ব বা অধিকার রয়েছে: ১)সালামের জবাব দেয়া ২)রুগ্নকে দেখতে যাওয়া ৩)জানাযায় অংশগ্রহণ করা (more…)

Alhamdulillah!

Assalaamu 'Alaikum! In this summer, during almost every Jumu’ah prayer, there was power failure in our mosque. Same was reported by devotees in mosques situated in Dhaka as far as 20 km from my house. I was thinking whether it was part of the concerted “secularization” efforts undertaken by a Government which seems to be determined to take the country back to the “1972 constitution”. However, the latest innovative step of advancing the clocks seems to be a “blessing in disguise” for the Muslims, Alhamdulillah! And possibly it (meaning, this advantage for the practicing Muslims) went unnoticed when the policy/decision makers sat for their discussion and/or decision making. (more…)