আস সালামু আলাইকুম!

আমরা এর আগে আলাপ করেছিলাম মুসলিম জীবনের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে এবং জেনেছিলাম যে, তিনটি বিষয়ে, ঈমান আনার আগেই জ্ঞান লাভ করতে হবে। সে বিষয়গুলোর ভিতর আবার এক নম্বরে ছিল আল্লাহ্ সম্বন্ধে জ্ঞান। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, রাসূল (সা.) ঈমানের বিষয়বস্তু সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমানতু বিল্লাহি, মালাইকাতিহি….”। এখানেও সঙ্গত কারণেই দেখা যাচ্ছে যে, আল্লাহর উপর ঈমানের কথাটাই সর্বাগ্রে আসছে। মাত্র দু’টি শব্দে প্রকাশ করা হলেও “ঈমান বিল্লাহ্” বা “আল্লাহর উপর ঈমান” এক বিশাল তথ্যবহুল বিষয়।

[এখানে বলে রাখা আবশ্যক যে, কোন বিষয়ে ঈমান আনতে গিয়ে যে সমস্ত ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়, সেগুলোকে এক কথায় “আক্বীদাহ্” বলা হয়। যেমন ধরুন আল্লাহর উপর ঈমান আনতে গিয়ে আপনি আল্লাহ্ সম্বন্ধে যে সব বিশ্বাস পোষণ করবেন, সেগুলোকে এক কথায় আমরা বলবো আপনার “আল্লাহ্ সংক্রান্ত আক্বীদাহ্”। ]

আক্বীদাহ্ সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের উৎস হতে হবে কেবল এবং কেবলমাত্র “অহী” বা প্রত্যাদেশ – তা “অহী মাতলু” [অর্থাৎ কুর’আন বা যে অহী তিলাওয়াত করা হয়] অথবা “অহী গায়ের মাতলু” [অর্থাৎ হাদীস বা সুন্নাহ্ – যা তিলাোয়াত করা হয় না] যে কোনটাই হতে পারে। তবে আক্বীদাহর কোন বিষয়ে আমাদের মনগড়া কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ গ্রহণযোগ্য নয় বরং তা অত্যন্ত গর্হিত পাপ! কুর’আনে সূরা আল আরাফের ৩৩ নম্বর আয়াতে, আল্লাহ্ ৪ শ্রেণীর পাপকে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করেছেন – নীচের দিক থেকে শুরু করে ৩ নম্বরে স্থান পেয়েছে “শিরক”। আর তার উপরে স্থান পেয়েছে তার চেয়ে গর্হিত পাপ: “আল্লাহ্ সম্বন্ধে অনুমানবশত কথা বলা”। আল্লাহ সম্বন্ধে এবং প্রকারান্তরে, আল্লাহর দ্বীন সম্বন্ধে অনুমানবশত কথা বলাই হচ্ছে সকল পাপের উৎস। আমরা ইনশা’আল্লাহ্ চেষ্টা করবো, দ্বীন সংক্রান্ত ব্যাপারে কেবল নিশ্চিত জ্ঞনের উপর ভিত্তি করে কথা বলতে – অন্যথায় চুপ থাকাটাই শ্রেয়!

যা হোক, সবার আগে আমরা চাইবো আল্লাহর পরিচয় জানতে – যতটুকু এবং ঠিক যেভাবে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সা.) আমাদের জানিয়েছেন
সে ভাবে জানতে চেষ্টা করবো ইনশা’আল্লাহ্!

ফি আমানিল্লাহ্!

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *