শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন – ১

ভূমিকা:

এই লেখাটি প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু somewhereinblog-এর “ইসলাম” গ্রুপের জন্য লেখা। তারপর ঐ সাইটের আরো ২/১টা গ্রুপে অবগতির জন্য দেয়া হয়েছিল।
এই লেখার ভূমিকাস্বরূপ বা পূর্বকথা হিসেবে যে লেখাটা লিখেছিলাম: ঘোলা পানিতে মাছ শিকার – তা ইতোমধ্যেই Peace in Islam-এ “পোস্ট” হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম এখানে আর শিয়া-doctrine নিয়ে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই, কারণ এখানকার প্রায় সবাই practicing Muslim বলেই মনে হয়। কিন্তু গতকাল জুমু’আর খুতবায়, আমি যে মসজিদে জুমু’আর সালাত আদায় করলাম তার খতিব, বাংলাদেশে শিয়াদের অতি সাম্প্রতিক insidious অগ্রযাত্রা সম্বন্ধে আলোচনা করলেন – যা শুনে চিত্রটা, ধারণার চেয়ে অনেক ভয়াবহ বলে মনে হলো। রংপুর/সৈয়দপুর অঞ্চলে বহু বাংলাদেশী ও বাংলাভাষী মানুষ নাকি “শিয়া” হয়ে যাচ্ছেন সন্তর্পনে। তাদের proselytize করার জন্য ইরান থেকে শিয়া-doctrine-এ PhD করা “শিয়া আলেম” নিযুক্ত রয়েছেন ঐ এলাকার একটি অঞ্চলে। আমাদের দেশের মূলধারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর গণসাধারণের ধর্মীয় জ্ঞান এতই সীমিত যে, শিয়া-doctrine আহলে সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা”আহ্ থেকে কত বিচ্যুত, তা কল্পনা করাটাও তাদের জন্য কষ্টকর। আমাদের নানী-দাদীরা “near religious zeal” নিয়ে “বিষাদ সিন্ধুর” বানোয়াট ও মিথ্যা গল্প পড়তেন – পিতা-পুত্র সোহরাব ও রুস্তমের দুঃখজনক পরিণতির গল্প পড়তে পড়তে, তারা ধর্মীয় ভক্তি সহকারে অশ্রু বিসর্জন দিতেন এটা না জেনেই যে, সোহরাব ও রুস্তমের উভয়ই ছিলেন নির্ভেজাল “অগ্নি-উপাসক কাফির” তথা মুসলিমদের শত্রু । নিজের দ্বীন সম্বন্ধে অজ্ঞ বর্তমান সুসলিমদের অবস্থা তার চেয়ে ভালো কিছু নয় – বরং সংঘবদ্ধ ও সমাজবদ্ধ না থাকার কারণে, আগের চেয়ে আরো নাজুক ও vulnerable। আমরা তাই চেষ্টা করবো আমাদের দ্বীনী ভই-বোনদের শিয়া-doctrine সম্বন্ধে, ইনশা’আল্লাহ্, কিছু ধারণা দিতে। এই ব্লগে উপস্থাপনের জন্য মূল লেখাটায় সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। ]

 

মূল আলোচনা:

somewhereinblog-এ আসার পর বুঝলাম যে, সেখানে শিয়া-doctrine-এর বেশ রমরমা প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক দেশে এমন হতেই পারে। সেই সুদূর সুইজারল্যান্ড থেকে এসে, যদি খৃষ্টান পাদ্রীরা আমাদের দেশের মানুষের মাঝে প্রচারণা চালাতে পারেন এবং কিছু মানুষকে সফলভাবে খৃষ্টানও বানাতে পারেন – তাহলে নিকটবর্তী ইরান থেকে এসে শিয়ারা কেন কিছু মানুষকে তাদের দলে টেনে প্রচারণা চালাতে পারবেন না? এটা অত্যন্ত যৌক্তিক একটা প্রশ্ন! যার উত্তরে বলা যায় যে, তারা অবশ্যই তা করতে পারেন, বিশেষত তারা সব দিক দিয়েই যখন সুইস্ খৃষ্টানদের চেয়ে আমাদের অনেক কাছের – তারা তো আল্লাহকে, আল্লাহই বলেন, রাসূল (সা.)-কে রাসূলই মানেন; আর তাছাড়া ভাত ছড়ালে তো কাকের অভাব হবার কথা নয়। আমাদের এই অভাগা দেশটা বহুজাতিক কোম্পানী থেকে শুরু করে বহুমাত্রিক ধর্মবিশ্বাসী – সকলের জন্যই এক উর্বর চারণভূমি বা বলা যায় উন্মুক্ত fishing ground। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষদের যেন কিছুই বলবার নেই – অনেকটা বিশ্বযুদ্ধকালীন থাইল্যান্ডের অবস্থা যেন। সবার জন্যই উন্মুক্ত – যার খুশী আসো, আমাদের “ভিতর” দিয়ে যেখানে খুশী যাও, আমাদের তাতে কিছুই এসে যায় না, আমরা সকলকেই স্বাগত জানাই – আমরা হচ্ছি যাকে বলে একেবারে নিরপেক্ষ, absolute ধর্ম-নিরপেক্ষ! আমাদের অবস্থা যেন “গরীবের বৌ, সকলের ভাবী” বলে যে অব্যক্ত ইঙ্গিত দেয়া হয় – তেমন।

তবু, আমার কখনো ইচ্ছা হয়নি যে তাদের refute করি। আমার মনে হয়েছে শিয়া-doctrine বা অন্য যে কোন মতবাদকে refute করার চেয়ে বরং নিজের দ্বীনকে সঠিকভাবে জানাটা অনেক বেশী জরুরী। এজন্যই ”সঠিক পথ কি একটা না অনেকগুলো?” – এধরনের সারমর্ম সম্বলিত পোস্ট দিয়ে আসছি আগা-গোড়া। সঠিক পথ যে কেবল একটাই, তা জেনে নিয়ে আমরা সবাই যেন আপ্রাণ চেষ্টা করি সেই পথের উপর নিজেকে এবং নিজের প্রিয়জনদের প্রতিষ্ঠিত করতে – যেমন আল্লাহ্ বলেছেন: নিজেকে ও নিজের জ্ঞাতি-গোষ্ঠীকে “আগুন” থেকে রক্ষা করতে!!

আমি যদি ধরুন পিকাসোর পেইন্টিং-এর উপর গবেষণা করতে চাই এবং এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ হতে চাই, তবে, আমার সর্বপ্রথম কর্তব্য হবে কোনগুলি সত্যিই পিকাসোর পেইন্টিং, সেগুলোর বৈশিষ্ট্য কি সে সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করা। তাহলে যে কেউ যদি প্যারিসের রাস্তার কোন একটা লোকের একটা নকল চিত্রকর্ম আমার সামনে নিয়ে এসে আমাকে প্রতারণা করতে চায়, আমি মুহূর্তেই বুঝে ফেলবো যে, ওটা আসলে পিকাসোর মিলিয়ন ডলার মূল্যের চিত্রকর্ম তো নয়ই বরং নকল কিছুকে মূল্যবান কিছু বলে চালিয়ে দেয়ার এক জঘন্য অপচেষ্টা। কিন্তু তা না করে, আমি পৃথিবীর সকল Tom, Dick Harry-র চিত্রকর্ম কেন মান সম্মত নয় বা সেগুলোর কি দোষ ত্রুটি রয়েছে তা নিয়ে যদি গবেষণা শুরু করি, তাহলে এক জীবন নয়, বরং অবকাশ থাকলে, পিকাসোর চিত্রকর্ম কি বা কেমন – তা না জেনেই, কারো বহু জীবনকাল কেটে যেতে পারে ।

Blog-এ আমার বয়স যত বাড়ছে, ততই বুঝতে পারছি যে, এসব ব্লগের সদস্যরা তাদের “পৈত্রিক দ্বীন” সম্বন্ধে কত অসচেতন – আর তার চেয়েও দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক হচ্ছে আমাদের “ইসলামী ব্লগ”গুলোর অবস্থা – পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায়, জীবনটাকে কত হালকা জ্ঞান করে আমরা “ইসলাম-ইসলাম” খেলায় মেতে উঠি । নির্মলেন্দু গুণের মত আমারো বলতে ইচ্ছা হয়: “এতই যদি দ্বিধা তবে জন্মেছিলে কেন?” [নাউযুবিল্লাহ্ – এটা কেবলই এক অক্ষম আক্ষেপ – কিছুতেই আমার বিশ্বাসের প্রতিফলন নয়]। এরই পথ ধরে আজকের এই পোস্ট লিখতে বসা।

শিয়া-doctrine-এর প্রচারণার ফাঁদে পা দেবার আগে আমাদের জেনে নেয়া উচিত যে, শিয়ারা আমাদের দ্বীন সম্বন্ধে কি ভাবেন বা তাদের বিশ্বাসগুলো কি? বিস্তারিত লিখতে গেলে কেউ হয়তো এ নিয়ে হাজার পৃষ্ঠা লিখতে পারবেন। আমাদের দেশে যেমন দেওয়ানবাগী ইসলাম, আটরশী ইসলাম, চরমনাই ইসলাম, রাজারবাগী ইসলাম, আযানগাছী ইসলাম, হাক্কানী ইসলাম, তবলীগী ইসলাম, জামাতী ইসলাম, হিযবুত তাহরীরি ইসলাম, ১৯ ভিত্তিক ইসলাম – এমন বহু ব্র্যান্ডের ইসলাম রয়েছে এবং যাদের প্রায় সবাই নিজেদের “আহলে সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আহ্” বলে দাবী করেন, শিয়াদের মাঝেও তেমন বহু বহু ফেরক্বা রয়েছে, যাদের কোন কোনটিকে স্পষ্টতই সর্বজনস্বীকৃতভাবে ইসলাম বহির্ভূত বলে মনে করা হয় – যেমন Alawisদের ইসলাম বহির্ভূত মনে করা হয়, কারণ তারা আলী (রা.)-কে অবতার মনে করেন অর্থাৎ আলীর মাঝে ঈশ্বর নিজেকে প্রকাশ করেছেন বলে মনে করেন। প্রাথমিকভাবে শিয়ারা Twelver ও Sevener এই দুই ভাগে বিভক্ত হলেও, এদের মাঝ থেকেই Babi, Bahai, Druze, Ismaili, Zaidi, Alawis, Khoja, Akhbari, Nizari ইত্যাদি নানা শাখা প্রশাখা বেরিয়ে এসেছে। যাহোক, আমরা মূলত Twelver শিয়াদের প্রচারণার সম্মুখীন – যারা ইরানের রাষ্ট্রক্ষমতায় রয়েছেন এবং ইরানের জনসংখ্যার প্রায় ৯০% যাদের দ্বারা গঠিত। এরা ১২ জন নির্ভুল ইমামের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। আমি এই পোস্টে শিয়াদের কেবল তিনটি বিশ্বাসের কথা আলোচনা করবো, যার সাথে কোন মূলধারার মুসলিম কিছুতেই একমত হতে পারেন না:

১)আমাদের কাছে যে কুরআন রয়েছে তা অসম্পূর্ণ অসৎ সাহাবীরা কুরআনের অনেকাংশ সরিয়ে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)! এই বিশ্বাস স্বয়ং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’লার নিম্নলিখিত ওয়াদা ও ঘোষণাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে:
We have, without doubt, sent down the Message; and We will assuredly guard it (from corruption). (Qur’an,15:9)

২) আল্লাহর রাসূলের (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ সাহাবীদের মিথ্যাচারী, আত্মসাৎকারী ও জাহান্নামী মনে করা। রাসূল (সা.) এক এক করে নাম ধরে ১০ জনের জান্নাত লাভের কথা বলেছেন, যাদেরকে আমরা “‘আশারা মুবাশশারা” বা “সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন” বলে থাকি:

”আবু বক্বর জান্নাতে থাকবেন, উমর জান্নাতে থাকবেন , ওসমান জান্নাতে থাকবেন, আলী জান্নাতে থাকবেন, তালহা জান্নাতে থাকবেন, আয্-যুবায়ের জান্নাতে থাকবেন, আব্দুর রহমান ইবন আউফ জান্নাতে থাকবেন, সা’আদ ইবন আবি ওয়াক্কাস জান্নাতে থাকবেন, সাঈদ ইবন যায়েদ জান্নাতে থাকবেন, আবু উবায়দা ইবন আল-যাররা জান্নাতে থাকবেন।” (সূনান আবি দাউদ, আলবানীর মতে সহীহ্)

শিয়ারা মনে করেন, এঁদের প্রথম তিনজনই মিথ্যাচারী, আত্মসাৎকারী ও জাহান্নামী। তাদের এই বিশ্বাস আল্লাহর কালামকেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, যেখানে আল্লাহ্ বলেছেন:

The vanguard (of Islam), the first of those who forsook (their homes) and of those who gave them aid, and (also) those who follow them in (all) good deeds, well-pleased is Allah with them, as are they with Him: for them Hath He prepared Gardens under which rivers flow, to dwell therein forever: that is the supreme Felicity. (Qur’an, 9:100)

৩) তারা তাদের ইমামদের গায়েবের জ্ঞানের অধিকারী বলে মনে করেন যা স্পষ্টতই ইমামদের নবী-রাসূলদের উপরে স্থান দেয়ার নামান্তর। এটা ইসলামী বিশ্বাসের পরিপন্থী। কুর’আনে বলা হয়েছে:

Say: “I have no power over any good or harm to myself except as Allah willeth. If I had knowledge of the unseen, I should have multiplied all good, and no evil should have touched me: I am but a warner, and a bringer of glad tidings to those who have faith.” (Qur’an, 7:188)

আজ এখানেই শেষ করবো ইনশা’আল্লাহ্!

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

শিয়া-doctrine-এর প্রচারণার ফাঁদে পা দেবার আগে, নিজের দ্বীনকে একবার অন্তত সঠিকভাবে জানার চেষ্টা করুন। আল্লাহ্ আমাদের সত্য জানার ও মানার তৌফিক্ব দান করুন। আমীন!!

ফি আমানিল্লাহ্!

 

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন – ২

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আস সালামু ‘আলাইকুম!

[আগের লেখার ধারাবাহিকতায় ……………………………………..]

শিয়া-doctrine নিয়ে আমার এর আগের পোস্টের বক্তব্য সম্বন্ধে কারো কারো আপত্তি থাকতেই পারে – বিশেষত, যারা এযাবত এসব নিয়ে সুসংহত কোন “নথিপত্র” পড়ে দেখেননি। এ সম্বন্ধে একটা অত্যন্ত সুন্দর e-book লাগানো রয়েছে এখানে:

abdurrahman.org/innovation/shiismExpositionandRefutation.html

যারা ইসলাম সম্বন্ধে জানতে ও বুঝতে চান, আমার বিনীত অনুরোধ, তারা যেন গোটা বইখানা পড়ে দেখার চেষ্টা করেন এবং once for all তাদের জীবন থেকে এই সংক্রান্ত সংশয় মুছে ফেলেন – কারণ ভ্রান্ত আক্বীদাহ্ বা বিশ্বাসের উপর আমাদের মৃত্যু হোক সেটা যেমন আমরা চাই না – তেমনি আমরা ভ্রান্ত বিশ্বাস পোষণকারীদের সাথে সখ্যতাও চাইবো না [আমরা জানি, রাসূল(সা.)-এঁর হাদীস থেকে একথা জানা যায় যে, আমরা যাদের অনুসরণ করবো বা ভালোবাসবো – আখেরাতে আমরা তাদের সাথে থাকবো। আমাদের সবার স্বপ্ন থাকা উচিত যে, আমরা ইনশা’আল্লাহ্ রাসূল(সা.)-এঁর সাথে থাকবো। এই সংক্রান্ত একটা হাদীস হচ্ছে: “Every man will be with the person (in Hereafter) that he loved (in Dunya)” Bukhari, Muslim and others ]।

যাদের ব্যয় করার মত ঐটুকু সময় নেই, তাদের জন্য ঐ বইয়ের কেবল একটা অধ্যায় আমরা নীচে তুলে দিলাম – যে অধ্যায়ে কুর’আন সম্বন্ধে শিয়া-doctrine কি বলে, তা তুলে ধরা হয়েছে। এই অধ্যায়ে প্রমাণ স্বরূপ ২টা image লাগানো রয়েছে – যা সরাসরি দেখতে চাইলে এই লেখার শেষে দেয়া লিংক ক্লিক করুন:
======
SHI’ITE ATTACK ON THE NOBLE QUR’AN
The Qur’an should be the comprehensive reference for both Sunnis and Shi’ites, and a means of bringing about unity and mutual understanding, but it has been misinterpreted by the Shi’ites and given a meaning other than that which was understood by the noble Com- panions who received it directly from the Prophet, and other than that which was understood by the Imams of Islam who received it from the very generation amongst whom the Qur’an descended by way of Divine Revelation.
One of the most famous and respected Shi’ite scholars, from Najaf, Mirza Husain bin Muhammad Taqi An-Nawari At-Tabarsi, wrote in 1292 A.H. the book faslul-Khitaab fee Ithbatti Tahreefi Kitaab Rabbil-Arbaab (The Decisive Say on the Proof of Alteration of the Book of the Lord of Lords). In this book he compiled hundreds of texts written by Shi’ite scholars in different eras alleging that the Qur’an has been tampered with, that there have been both additions to it and omissions from it.
At-Tabarsi’s book was printed in Iran, in 1298 A.H., and its appearance attracted much attention, frustrating the intention of cer- tain Shi’ites that their doubts about the authenticity of the Qur’an should be restricted to the elite of religious scholars and personalities. They preferred that these allegations not be brought together in a single volume, and widely disseminated, as it could be used as a proof against them by their opponents. When the scholars made public their criticism, At-Tabarsi responded with another book entitled Raddu ba’dush-Shubahaati `an Faslil-Khitaabi fee Ithbatti Tahreefi Kitaabi Rabbil-Arbaab (Refutation of Some Specious Arguments Regarding the Decisive Say on the Proof of Alteration of the Book of the Lord of the Lords). He wrote this defense of his original book two years before his death. In order to show their appreciation of his contribution to the at- tempt to prove that the Qur’an had been altered, the Shi’ites buried him in one of their most prominent religious shrines, at Najaf.
Among the proofs offered by At-Tabarsi in his attempt to show that the Qur’an had been altered, was a quotation from what the Shi’ites consider to be a missing part of the Qur’an, called by them Suratul-Wilaayah (see below). It mentions the granting of wilaayah (sovereignty) to `Ali(8) as follows: “O believers, believe in the Prophet and the wali, the two whom We sent to guide you to the straight path…”[suratul-Wilayyah]
(So-called Suratul-wilaayah)
Photocopy of the so-called Suratul-wilaayah which the Shi’ites accuse the Sunni Muslims of deleting it along with other suras from the original text of the Holy Qur’an. It reads:
O’ you who believe, believe in the prophet and the wali, the two whom we sent to guide you to the straight path. A prophet and wali who are of each other. and celebrate the praise of your Lord, and Ali is among the witnesses.

[fatwa against companions]
Photocopy of the original fatwa (religious verdict) encouraging the Shi’ite masses to curse the two Caliphs Abu Bakr and `Umar. signed by six of the con- temporary Shi’ite scholars and clergy among them Khomeini and Shariat Madari The trustworthy scholar Muhammad `Ali Sa’oodi, chief consultant to the Egyptian Ministry of Justice, and one of Sheikh Muhammad Abduh’s special students, managed to examine an Iranian manuscript copy of the Qur’an owned by the orientalist Brown. He was able to make a photocopy of Surat-ul-Wilaayah with its Persian translation. Its existence was affirmed by At-Tabarsi in his book faslul-Khitaab, and by Muhsin Faani Al-ashmeeri in his book Dabisan Madhaahib. This book, written in Persian, was printed several times in Iran. The chapter (Surat)-ul-Wilaayah) which is falsely attributed to Allah’s revelation, was also quoted by the famous orientalist Noeldeke in his book History of the Copies of the Qur’an(9). It also appeared in the Asian-French Newspaper in 1842 C.E.
At-Tabarsi also quoted a tradition from Al-Kaafi, which is to the Shi’ites what Sahih-ul-Bukhari is to the Sunni Muslims. It reads:
A number of our associates narrated by way of Sahl bin Ziyaad through Muhammad bin Sulaiman that some of his friends reported Abul-Hasan Ath-Thaani `Ali bin Mioosa Ar-Rida as saying `May I be your ransom! We hear verses of the Qur’an different from those we have with us and we are not capable of reading them according to your reading which has reached us. Do we commit a sin thereby He replied, “No, read the Qur’an as you have learned it; someone will come to you to teach you.
Without a doubt, this conversation is fabricated by the Shi’ites and is falsely attributed to the Imam `Ali bin Moosa Ar-Rida; however, the statement is taken by the Shi’ites as a legal ruling in this matter. Its implication is that while one of them commits no sin by reciting the Qur’an the way Muslims have learned according to `Uthman’s unanimously accepted text, the privileged class of Shi’ite clergy and scholars will teach each other a version other than the accepted one, a version which they claim came to their Imams from AhlulBait.
It was the urge to strike a comparison between the Shi’ite “Qur’an” (which they secretly confide to one another, while hiding it from the general public as an act of taqiyyah”) and the known and officially accepted `Uthmani Edition of the Qur’an, which motivated At-Tabarsi to write his book faslul-Khitaab.
Although the Shi’ites pretended to disown At-Tabarsi’s book, as an act of taqiyyah, the glar- ing fact that it-includes hundreds of quotations from the recognized works of their scholars clearly confirms their adherence to the tenet of alteration of the Qur’an. Of course, they do not want a clamor to be raised over this perverse article of faith of theirs
The intended result of their claim is to leave us with the impres- sion that there are two Qur’ans: one, the `Uthmani version accepted by the Sunni Muslims; the other, the allegedly hidden version of the Shi’ites, part of which is Surat-ul-Wilaayah. They are well aware that they fabricated the statement they attributed to the Imam `Ali bin Moosa Ar-Rida: “… read [the Qur’an] as you have learned it; someone will come to you to teach you.” The Shi’ites also claim that a verse was deleted from the Qur’an from Surat-ul-lnshiraah. The alleged deletion is “and we made `Ali your son-in-law.” Have they no shame in making such an allegation, when it is a well-known fact that this particular surah was revealed in Mecca at a time when `Ali was not yet the son-in-law of the Prophet, Allah’s blessing and peace be upon him. His only son-in-law a that time was Al-’Ass Ibnur-Rabee’al-Ummawi. As for the fact that `Ali was a son-in-law of the Prophet, it should be pointed out that Allah also made `Uthman bin `Affaan the son-in-law of the Prophet through his marriage to two of the Prophet’s daughters. Upon the death of the second of `Uthman’s wives (the second of the two daughters), the Prophet said to him, “If we had a third one, we would have given her to you in marriage.”
Another of the Shi’ite scholars, Abu Mansoor Ahmad bin `Ali At- Tabarsi, in his book Al-lhtijaaj `ala Ahlil-Lajaaj (Argumentation with the Contentious Folk) claimed that `Ali said to one of the zanaadiqah,(10)whose name At-Tabarsi neglected to mention, “As for your belligerent disagreement with me(11), it shows your feigned ignorance of Allah’s statement, `And if you fear that you will not deal justly with the orphans, then marry of the women who seem good to you…”‘ At- Tabarsi then went on to say, by way of explanation as to why this verse was quoted by `Ali in his argumentation with his opponents:
Now doing justice to orphans does not resemble the marrying of women, and not all women are
orphans; thus, this verse is an exam- ple of what I have presented earlier in the book Al-Ihtijaaj; regarding the deletion of parts of the Qur’an by the hypocrites’,(12) that deletion being between the statement about justice to orphans, and that which follows it, about the marrying of women. This deletion consists of addresses and stories, and amounts to more than a third of the Qur’an,
=====

শিয়া-doctrine অনুযায়ী সাহাবীরা কুর’আনের যেসব অংশ সরিয়ে ফেলেছেন তার একটি হচ্ছে তথা কথিত Suratul-Wilaayah
(নাউযুবিল্লাহ্!)। এর প্রমাণ দেখতে চাইলে এবং [fatwa against companions] বা সর্বশ্রেষ্ঠ সাহাবীদের বিরুদ্ধে তাদের ফতোয়ার image দেখতে চাইলে ক্লিক করুন:

web.archive.org/web/20030428000545/http://www.geocities.com/~abdulwahid/muslimarticles/khutoot.html#_1_11

web.archive.org/web/20030428000545/http://www.geocities.com/~abdulwahid/muslimarticles/khutoot.html

এছাড়া শিয়া-doctrine সম্বন্ধে “আহলে সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আহ”র স্কলারদের মূল্যায়ন সম্বন্ধে জানতে চাইলে দেখুন:

www.sunnahonline.com/ilm/aqeedah/0042.htm

ফি আমানিল্লাহ্!

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন-৩

লিখেছেন: ‘ মুসলিম৫৫‘ @ শুক্রবার, জানুয়ারি ৮, ২০১০ (১:১১ অপরাহ্ণ)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আস সালামু আলাইকুম!

বাতিল ফিরক্বার লোকজন সব সময় সাধারণের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে থাকে এবং ‍”ঘোলা পানিতে মাছ শিকার” করে থাকে। সেজন্য আমাদের উচিত নিজের দ্বীনকে ভালো ভাবে জানা। আপনি যদি জানেন সত্য কোনটা, তাহলে আপনাকে মিথ্যা দিয়ে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না। এ সংক্রান্ত আগের পোস্টগুলোর ধারাবাহিকতায় আসুন আমরা কুর’আন সম্বন্ধে একটু details জানি। ব্যাপারটাকে বলা হয় “কুর’আনিক সাইন্স” বা ‘Uloomul Qur’an। ইংরেজীতে, চাইলেই, হাতের কাছে ‘Uloomul Qur’an-এর ৩টি বই পাবেন – Yasir Qathi, Ahmad Von Denfer এবং Dr. Hasanuddin Ahmed লেখা। আমরা এর একটির রেফারেন্স দেবো ইনশা’আল্লাহ্, যেটির লিংক আপনাদের দেয়া যাবে, যাতে আপনারা চাইলে সরাসরি দেখতে পারেন।

কুর’আনে আল্লাহ্ নিজেকে “আল্লাহ্” ছাড়াও, “আর রহমান”, “আর রহীম”,
“আল মালিক”, “আস সামাদ” ইত্যাদি অপূর্ব সুন্দর সব নাম ও গুণাবলীতে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর অর্থ কি এই যে “আর রহমান” বললে আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে বোঝায়? কোন নাম সর্বস্ব মুসলিমও, উন্মাদ না হলে যেমন এহেন সম্ভাবনার কথা বলবে না – তেমনি কুর’আন নিয়ে সামান্য পড়াশোনা করা কোন কাফির মুশরিকও এধরনের কথা বলবে না। বরং আমি দেখেছি আল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে বিধর্মীদের মাঝেও একধরনের বিস্ময় মিশ্রিত সমীহ ও শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে [উদাহরণ স্বরূপ The Prophet Muhammad বইয়ের লেখক Barnaby Rogerson আল্লাহর নামগুলোতে এতই অভিভূত হয়েছেন যে, রাসূল(সা.)-এঁর জীবনীর বইয়ের শেষে, কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই তিনি আল্লাহর ৯৯ নামের মাহাত্ম্য বর্ণনা করে একটা অধ্যায় সংযোজন করেছেন। ]

একইভাবে আল্লাহর কালাম বা speech কুর’আনকে, আল্লাহ্ নিজে কুর’আনে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করেছেন যার সংখ্যা ৫৫টির কম নয়। এগুলোর কয়েকটি হচ্ছে:

# আল ফুরক্বান (২৫:১ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল যিকির (১৫:৯ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল তানযিল (২৬:১৯২ আয়তে উল্লিখিত)

# আল মাজিদ (৫০:১ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কারিম (৮০:১৩ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল হাকিম (৩১:২ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কিতাব (২১:১০ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কিতাব মুবিন (৫:১৫ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল কিতাব মুবারাকা (৬:১৫৫ আয়াতে উল্লিখিত)

# আল ক্বাউল ফায়সাল (৮৬:১৩ আয়াতে উল্লিখিত)

“কুর’আন” ছাড়া বাকী নামগুলো কুর’আনের সিফাত বা গুণ ব্যক্ত করে – ঠিক যেমন “আল্লাহ্” ছাড়া বাকী নামগুলো আল্লাহর গুণ ব্যক্ত করে। কুর’আনে অন্তত ১৪০ স্থানে কুর’আনকে ঐ সব গুণবাচক নাম দিয়ে উল্লেখে করা হয়েছে। আমার গোটা জীবনে আমি কোথাও কাউকে বিন্দুমাত্র সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখিনি যে, উপরোক্ত আয়াতগুলোতে “আল ফুরক্বান” বা “আল যিকির” বলতে কুর’আন ছাড়া অন্য কিছু বোঝানো হয়েছে।

এসবই আপনাদের জানা উচিত। কারণ ব্লগে [somewhereinblogএ] একজন‍ “বাঙ্গালী শিয়া” [মেঘে মেঘে কত বেলা হয়ে গিয়েছে যে, আমরা এখন “বাঙ্গালী শিয়াদের” মুখোমুখি হচ্ছি] তথা শিয়া-doctrine-এর প্রচারক এই বলে পানি ঘোলা করতে চেয়েছেন যে, ১৫:৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ তো যিকিরের কথা বলেছেন, কুর’আনের কথা বলেন নি – আর এই বলে তিনি ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন যে, কুর’আন পরিবর্তন করা যেতে পারে (নাউযুবিল্লাহ্)। এধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা “যিন্দিক”দের কাজ – যারা মুসলিম সেজে ভিতর থেকে ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে আত্মনিয়োগ করে – পরস্পর বিরোধী যুক্তি দিয়ে যারা মানুষকে confused করে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে হালকা বা অর্থহীন করে তোলে, সাহিত্যের ভাষায় যেটাকে বলা হয় deconstruction! আল্লাহ্ আমাদেরকে ঈমান সহকারে মৃত্যুবরণের তৌফিক্ব দান করুন। আমীন!

বিস্তারিত ও সরাসরি দেখতে চাইলে ক্লিক করুন:

http://www.netnavigate.com/hasan/studyquran/ch1.html

ফি আমানিল্লাহ্!

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন-৪

লিখেছেন: ‘ মুসলিম৫৫‘ @ বুধবার, জানুয়ারি ১৩, ২০১০ (১২:৩২ পূর্বাহ্ণ)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আস সালামু আলাইকুম!

নব্য “বাঙ্গালী শিয়া” সহ যারা “ঘোলা পানিতে মাছ শিকার” করতে চান, তারা একটা তথ্য দিয়ে থাকেন: কুর’আনে ৬৬৬৬ সংখ্যক আয়াত রয়েছে বা কুর’আনের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬। আপনি যদি খুঁজে দেখতে চান এই সংখ্যাটা কোথা থেকে আসলো তবে দেখবেন যে, কুর’আনের এই আয়াত সংখ্যা কুর’আনিক বিজ্ঞানের (উলুমুল কুর’আনের) একজন স্কলারও উল্লেখ করেন নি। কুরআনের আয়াত সংখ্যা কত এই নিয়ে ইসলামী বিশ্বের বড় বড় স্কলাররা অনেক বই লিখেছেন, যে গুলোর অন্যতম হচ্ছে:

Adad al-Madani al-Awwal by Nafi’ bin Abd al-Rahman al-Madani
Adad al-Thani by same author
al-Adad by ‘Ata bin Yisar
al-Adad by Hamza al-Ziyyat
al-Adad by Khalf bin Hisham
al-Adad by Muhammad bin Eisa
al-Adad by al-Kisai
al-Adad by ‘Aasim al-Juhdari
al-Adad by Khalid bin Ma’daan
Kitab by Abu Ubaid bin Sallam
Adad Aai al-Quran by Abu Hafs al-Tabari

এদের কেউ কখনো বলেন নি যে, কুর’আনে ৬৬৬৬ সংখ্যক আয়াত রয়েছে। তাহলে কথাটা আসলো কোথা থেকে? এর উত্তর হচ্ছে: খৃষ্টান মিশনারীরা এধরনের কথা, বলতে গেলে, আমাদের মুখে পুরে দিয়ে গেছে – আর আমরা অজ্ঞতাবশত কোন রকম verification ছাড়াই সে কথা মুখ থেকে মুখে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি। ভারতবর্ষে তথা আমাদের এই অঞ্চলে এই তথ্যের অন্যতম প্রচারকারী হচ্ছে ঔপনিবেশিক বৃটিশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসার সূত্র। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসার প্রথম ২৫ জন প্রিন্সিপাল ছিলেন খৃষ্টান মিশনারী বা পাদ্রী। এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার উদ্দেশ্য কি তা বিশ্বাসী মুসলিম মাত্রেরই জানার কথা। খৃষ্টান ধর্মতত্ত্বে ৬৬৬ হচ্ছে শয়তান বা সেই ”দানবের” সংখ্যা (sign of the Anti-Christ) যে কিনা যীশুর বিপরীত সত্তা (অনেকটা ইসলামে দাজ্জাল বলতে যে ভীষণ দুষ্ট, মন্দ ও দানবীয় সত্তার ধারণা রয়েছে তেমন)। আল্লাহর কালাম ও ইসলামের নবী (সা.)-কে শয়তানের সাথে সম্পৃক্ত করতে, তারা এই বানোয়াট আয়াত সংখ্যা আবিষ্কার করেছে।

এই গ্রুপের এক নব্য ”বাঙ্গালী শিয়া” এক মন্তব্যে হঠাৎ বলে বসলেন যে, কুর’আনে ৬৬৬৬ সংখ্যক আয়াত রয়েছে, কিন্তু, এখন দেখা যায় যে আদি সংখ্যা থেকে ৪৩০টি আয়াত কম রয়েছে – সেগুলো গেলো কোথায়। তিনি সম্ভবত বুঝাতে চেয়েছেন যে, হযরত আবুবকর (রা.) ও উমরের (রা.) মত সাহাবীরা – যাদের আমরা এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ মুসলিম মনে করে থাকি এবং যাদের তারা গালি দিয়ে থাকেন ও জাহান্নামী মনে করে থাকেন – তাঁরা ঐ ৪৩০টি আয়াত সরিয়ে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ্)। আমি যখন জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি ৬৬৬৬ সংখ্যাটি কার কাছ থেকে পেলেন, [উপরে খৃষ্টান ধর্মতত্ত্বের আলোচনার আলোকে] শয়তান পূজারীদের কাছ থেকে? তিনি তখন বললেন যে, তার হাতের কাছ ৩টি কুর’আন রয়েছে, যার দু’টি বাংলা অনুবাদ এবং তাতে নাকি ঐ সংখ্যক আয়াত রয়েছে বলে লেখা রয়েছে। আমি অবশ্য কয়েকটা বাংলা অনুবাদ ঘেঁটেও সংখ্যাটা খুঁজে পাইনি, তবে এমন তথ্য থাকা অসম্ভব নয় – কোলকাতা আলীয়া মাদ্রাসাকে সূত্র হিসেবে গ্রহণ করলে এবং কোন বাছ-বিচার ছাড়া তাদের দেয়া তথ্য তুলে দিলে কেউ বলতে বা লিখতেই পারেন যে, কুর’আনে ৬৬৬৬ আয়াত রয়েছে। এখানে বলা আবশ্যক যে আমাদের কথিত সেই নব্য “বাঙ্গালী শিয়া” এই প্রসঙ্গে যে fallacious কথাটি বললেন তা হচ্ছে এই যে, তিনি এমন কুর’আন হাতের কাছে পেয়েছেন [যেমন মৌলানা আশরাফ আলী থানভীর ব্যাখ্যা সমেত সহীহ নূরানী “কোরান শরীফ”] যাতে লেখা আছে যে কুর’আনে ৬৬৬৬ আয়াত রয়েছে – আমার প্রশ্ন হচ্ছে: তাহলে ৪৩০টি আয়াত হারিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন? তাহলে তো ঐ কুর’আনে ৬৬৬৬ আয়াত থাকার কথা। ঐ কুর’আনের কপি এবং অপর কপির ভিতর text যদি হুবহু একই হয় তবে বুঝতে হবে যে, কুর’আনের কোন আয়াত হারিয়ে যায় নি বরং আয়াত সংখ্যা গোনার ব্যাপারে কোন সমস্যা হয়েছে। কষ্ট করে গুনে দেখলেই হয়, সেখানে ৬৬৬৬টি আযাত আছে কিনা – যদি না থাকে তবে বুঝতে হবে সংখ্যাটা উল্লেখ করতে ভুল হয়েছে – ব্যস!

এখন আসুন আমরা দেখি কুর’আনে কত সংখ্যক আয়াত রয়েছে বলে বিভিন্ন ধারার স্কলাররা মনে করেন এবং এব্যাপারে প্রথম যুগ থেকেই স্কলারদের ভিতর কেন মতপার্থক্য দেখা দিল!

প্রথমত: কুর’আনের একটা বাক্য বা বাক্যাংশ পড়তে গিয়ে কোথায় থামতে হবে [যেটাকে আমরা ওয়াকফ করা বলি], তা নিয়ে স্কলারদের ভিতর মত পার্থক্য ছিল। এটা আয়াত সংখ্যা ভিন্ন গণনা করার একটা কারণ।
দ্বিতীয়ত: সূরা ফাতিহা বা অন্যান্য সূরার শুরুতেও যে, “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” রয়েছে – তা কুর’আনের আয়াত হিসেবে গণ্য করা হবে কি হবে না, এ নিয়ে মত পার্থক্য থাকাতে আয়াতের সংখ্যা ভিন্ন হয়েছে।
তৃতীয়ত: কুর’আনের ২৯টি সূরার শুরুতে “আলিফ-লাম-মীম” বা “হা-মীম”-এর মত যে হরফ সমষ্টি রয়েছে [যেগুলোকে আমরা মুক্বাত্তা’আত বলে থাকি] সেগুলোকে কেউ কেউ ভিন্ন আয়াত বলে গণ্য করেছেন – অন্যরা বলেছেন যে, সেগুলো আসলে পরবর্তী আয়াতের অংশ।
এসব কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই হুবহু একই text থাকা সত্ত্বেও আয়াত সংখ্যা ভিন্ন হয়েছে। এব্যাপারে ভিন্ন গণনাগুলো হচ্ছে:

১)কুফার স্কলারদের গণনা অনুযায়ী আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ৬২৩৬ – পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে এই গণনা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
২) বসরার স্কলারদের মত অনুযায়ী এই সংখ্যা হচ্ছে ৬২১৬ – তাঁরা আসীম বিন হাজ্জাজের মত অনুসরণ করেন, যিনি ছিলেন প্রথম পর্যায়ের ধর্মান্তরিতদের একজন।
৩) সিরিয়ার স্কলারদের মতে কুর’আনের আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ৬২৫০ – তাঁরা আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমরের(রা.) গণনা পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
৪) মক্কার স্কলারদের মতে সংখ্যাটা হচ্ছে ৬২১২।
৫) মদীনার স্কলারদের মতে তা হচ্ছে ৬২১৪।

কেউ রেফারেন্স দেখতে চাইলে নিম্নলিখিত লিংকগুলোতে কিক করতে পারেন:

http://netnavigate.com/hasan/studyquran/ch1.html

http:/en.wikipedia.org/wiki/Qur%27an

http://peacebruv.blogspot.com/2007/05/q-regarding-number-of-verses-in-quran.html

শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন – শেষ পর্ব

লিখেছেন: ‘ মুসলিম৫৫‘ @ রবিবার, জানুয়ারি ১৭, ২০১০ (৬:১০ পূর্বাহ্ণ)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

আস সালামু আলাইকুম!

আমি আগেই বলেছি যে, blog-এ কখনো কোন ধরনের বিতর্কে জড়ানোর আমার কোন অভিপ্রায় ছিল না। আমি চেয়েছিলাম, ভাই-বোনদের সন্তর্পনে আমাদের দ্বীনের একেবারে basic কিছু তথ্য জানাবো । খুবই নগন্য প্রয়াস – তবু, কে জানে, একটি জীবনও যদি ঘুরে দাঁড়ায় – তার সাফল্য গগণচুম্বী হতে পারে। কিন্তু বিভিন্ন বাতিল ফিরক্বা তথা নাস্তিকদের অবারিত প্রচরণা ও “চিকা মারা” দেখে মনে হলো, মূলধারা ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত বা অর্ধ-প্রতিষ্ঠিত ভাইবোনদের জন্য কিছু “quick tips” দেয়া প্রয়োজন। আমি যদিও শুদ্ধ-বিশ্বাস বিষয়েই লিখতে শুরু করেছিলাম, তবু শিয়া-doctrine তথা ”মানবতাবাদী” ও ”সক্রেটিস/আইনস্টাইনপন্থী” ইসলামের মুখপাত্রদের ছড়ানো বিভ্রান্তি নিয়ে লেখাটা জরুরী হয়ে ওঠাতে, এমন কিছু বিষয়ে হাত দিতে হয়েছে যা priorityতে হয়তো তৌহীদ, কুফর, শিরক ইত্যাদি প্রথমিক বিষয়ের অনেক পরে আসতো। এরকম আরো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আপাতত “শিয়া-doctrine-এর ফাঁদে পা দেবার আগে নিজের দ্বীনকে জানুন” বিষয়ক আলোচনা শেষ করবো ইনশা’আল্লাহ্ ! সে বিষয়টি হচ্ছে আহল আল-বাইত” [কেউ কেউ ”আহলে বাইত” বলে থাকেন] বা সোজা বাংলায় “রাসূল (সা.)-এঁর ঘরের লোকদের” প্রসঙ্গ। আন্তর্জাতিকভাবে শিয়ারা যেমন এই প্রসঙ্গটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং পানি ঘোলা করে থাকে, তেমনি আমাদের দেশের নব্য বাঙ্গালী শিয়ারাও মূলধারা মুসলিমদের এই প্রসঙ্গটা নিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকে।

আপনাকে যদি কেউরাসূল (সা.)-এর ঘরের মানুষ” এই কথাটুকু বলে, তাহলে আপনার মনে কি চিত্র জেগে ওঠে? আমার মনে তো প্রথমেই আয়শা (রা.)-এঁর গৃহের কথা জেগে ওঠে। কুর’আনের বহু আয়াতের তফসীর প্রসঙ্গে, হাদীসে এবং রাসূল (সা.)-এঁর জীবনী বা “সীরাহ্” প্রসঙ্গে আয়েশা (রা.) এবং তাঁর গৃহের কথা এসেছে। তাঁর কোলে মাথা রেখে, তাঁর ঘরেই রাসূল(সা.) ইহলোক ত্যাগ করেছেন এবং সেই ঘরেই তিনি সমাহিত হয়েছেন। তথাপি শিয়ারা আয়েশা (রা.)-কে “আহল আল-বাইত” বা ”রাসূল (সা.)-এঁর ঘরের মানুষ” মনে করে না! কি অদ্ভূত ব্যাপার তাই না!! শুধু তাই নয়, রাসূল(সা.)-এঁর আরো যে সব স্ত্রীদের কথা কুর’আন, হাদীস বা “সীরাহ”তে উল্লেখযোগ্যভাবে বর্ণিত আছে যেমন: জয়নব বিনতে জশ (রা.) বা উম্ম সালামাহ্(রা.) বা শাফিয়া (রা.) – যাঁদের আমরা উম্মুল মু’মিনীন মনে করি – তাঁদেরকেও তারা “রাসূল (সা.)-এঁর ঘরের মানুষ” বলে মানতে নারাজ। কেবল ফাতিমা (রা.) এবং (স্বভাবতই শিয়া আলী বা আলীর দল হিসেবে) আলী (রা.) ও তাঁদের বংশদরদের তারা “আহল আল-বাইত” মনে করে – ঠিক যেভাবে হাতে গোনা কয়েকজন সাহাবী ছাড়া, বাকী সবাইকে তারা ভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট মনে করে (নাউযুবিল্লাহ্!)।

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আর মতে, “আহল আল-বাইত”এর মাঝে রাসূল (সা.)-এঁর সকল স্ত্রীগণ অন্তর্ভূক্ত, যাঁদেরকে আল্লাহ্ নিজে কুর’আনে ”আহল আল-বাইত” বলে সম্বোধন করেছেন:

O Consorts of the Prophet! ye are not like any of the (other) women: if ye do fear (Allah), be not too complaisant of speech, lest one in whose heart is a disease should be moved with desire: but speak ye a speech (that is) just. And stay quietly in your houses, and make not a dazzling display, like that of the former Times of Ignorance: and establish Regular Prayer, and give Regular Charity; and obey Allah and His Messenger. And Allah only wishes to remove all abomination from you, ye Members of the Family, and to make you pure and spotless. (Qur’an, 33:32-33)

আমরা এদের সবাইকে নিস্পাপ মনে করি এবং তাঁরা দুনিয়ায় ও আখেরাতে রাসূল (সা.)-এঁর স্ত্রী বলে মনে করি। এদের মাঝে সবচেয়ে মর্যাদাশীল হচ্ছেন খাদিজা (রা.) ও আয়েশা (রা.)। আয়েশা (রা.)-কে আল্লাহ্ নিজে কুর’আনে নিষ্পাপ বলে ঘোষণা করেছেন। যে/যারা আল্লাহর ঘোষণার বিপরীতে তাঁর নামে কোন কলঙ্ক লেপন করে, আহলুস সুন্নাহ্ ওয়া আল জামা’আ তাকে/তাদেরকে অবিশ্বাসী মনে করে। (দেখুন: পৃষ্ঠা#১৮৪ -১৮৬, A Brief Introduction to the ‘Aqeedah of Ahl Assunnah wal-Jama’ah – ‘Abd-Allah al-Athari. Published by IIPH. ISBN: 9960-850-22-6 ).

ফি আমানিল্লাহ্!

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *