ঘৃণার সুনামী
পৃথিবীর মানচিত্র থেকে,
তোমার মুছে যাওয়াই যদি
আমার অস্তিত্বের একমাত্র শর্ত হয় –
তবে তাই হোক, আমি তাই চাইবো।
আমার মানচিত্র টিকিয়ে রাখতে,
তোমার মানচিত্রের ছিন্ন-ভিন্ন হওয়া যদি
অপরিহার্য ও অনিবার্য হয়,
তবে তাই হোক, আমি তাই চাইবো।
আমার মহাবিশ্বের সকল ঘৃণা –
একত্রে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে
তোমার ঐ তিন অক্ষরের নামে।
তুমি কি জানো না ঘৃণা কত শক্তিধর?
তুমি কি দেখোনি ঘৃণার আগুনে
কত সাজানো বাগান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে-
ড্রেসডেন, হিরোশিমা, নাগাসাকি আরো কত কি!
তোমার জমিদারীর সম্প্রসারণ,
আর আমার জীবন ও মরণ!
তুমিই ভেবে দেখ তো –
যুদ্ধক্ষেত্রে কে বেশী মরিয়া হবে!
তুমি কেবল চাণক্যের কূটচাল দেখেছো,
ঘৃণার সুনামী দেখোনি! ঘৃণার সুনামী
মুহূর্তে ধুয়ে সমতল করে দিতে পারে
তোমার সাজানো “ব্যভিচারের কুঞ্জবন”।
তুমি কি দেখোনি – একটি স্ফূলিঙ্গ থেকে
সৃষ্ট দাবানল, ছাই করে দেয়
কত শত বর্গমাইল বনভূমি!
তুমি নিশ্চিত থাকো, আমি নিঃশেষ হবার আগে –
স্ফূলিঙ্গ হয়ে, তোমার ছাই হবার ব্যবস্থা
পাকা-পোক্ত করে দিয়ে যাবো নিশ্চয়!
তুমিই তাহলে বেছে নাও,
আধিপত্য নাকি তোমার অস্তিত্ব –
তুমি সত্যিই কোনটা চাও?