الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وبعد

প্রশ্নঃ আব্দুল্লাহ্ আব্দুর রহমানের গীবাত করেছে। এক ব্যক্তি সেটা শুনে আব্দুর রহমানকে বলে দিয়েছে। এরপর আব্দুল্লাহ্ আব্দুর রহমানের কাছে এসে ক্ষমা চাইলে আব্দুর রহমান তাকে মৌখিকভাবে ক্ষমা করে দেয় কিন্তু যদি অন্তর থেকে ক্ষমা না করে তাহলে কি এটি ক্ষমা হবে?

উত্তর দিয়েছেন ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ

উত্তরঃ যদি আব্দুর রহমান মৌখিকভাবে ক্ষমা করে দেয় তাহলে এটি মাফ হয়ে যাবে। মৌখিকভাবে ক্ষমা ঘোষণা দেয়ার পরও যদি তিনি অন্তরের মধ্যে অন্য কিছু উদ্দেশ্য রাখেন তাহলে তিনি গুনাহ্গার হবেন। যেহেতু এটি হকের সাথে/ইকরারের সাথে সম্পর্কিত বিষয় তাই তিনি স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে সেটি ক্ষমা হয়ে যাবে। কারণ অন্তরের বিষয়টি আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন, তাই এটি আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনই ফয়সালা করবেন। এটি মানুষের ফয়সালার অন্তর্ভুক্ত নয়।

এক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তের হুকুম হবে
আল হুকমু ‘আলা আল যাহের অর্থাৎ বাহ্যিক এবং লৌকিক যে বিষয়গুলো আছে সেগুলোর উপর অর্থাৎ যেগুলো আমরা দেখতে পাই। সেক্ষেত্রে অন্তরে তার কি আছে সেটি দেখার বিষয় হবে না। তবে আব্দুর রহমানের উচিৎ হবে আব্দুল্লাকে ক্ষমা করে দেয়া। এ ধরনের ক্ষেত্রে যদি আল্লাহর কোনো বান্দা কারো কাছে ক্ষমা চান তাহলে তার উচিৎ হবে আন্তরিকভাবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া। আন্তরিকভাবে যদি আল্লাহর কোনো বান্দা তাকে ক্ষমা করে দেন তাহলে এ ক্ষমার জন্য তিনি অবশ্যই আল্লাহ্‌ রাব্বুল ‘আলামীনের কাছে সাওয়াব পাবেন এবং ক্ষমার পরিবর্তে ক্ষমা লাভ করবেন। যেমন আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন,

وان تعفوا اقرب للتقوى

তোমরা ক্ষমা করে দাও কারণ এটি তাকওয়ার সবচেয়ে নিকটবর্তী। তাই এক্ষেত্রে তিনি যদি ক্ষমা করে দেন তাহলে তিনি সত্যিকার অর্থে তাকওয়া অবলম্বন করতে পারলেন এবং এটিই উত্তম। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

والسلام عليكم ورحمة الله و بركاته

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *