[“এমন তো কথা ছিল না” পড়ে একজন ব্লগার জিজ্ঞেস করেন, “কেমন কথা ছিল?”]

কথা ছিল, তুমি হবে আমার দু’চোখ শীতল করা প্রশান্তি।
তুমি হবে গভীর বনের মাঝখানের ছায়াঘেরা কালো-জল দীঘি
চৈত্রের নির্জন জনশূন্য দুপুরে, নিস্তরঙ্গ কালো জলরাশি যার-
আমি তার শান বাঁধানো ঘাটে বসে, একদৃষ্টে শুধু চেয়ে দেখবো তাকে।

কথা ছিল, কোন কথা না বলেই তোমার সাথে আমার হবে
এক জীবনের ভাব বিনিময় – তুমি আর আমি, পাহাড়ের
পাদদেশে বসে নীরবে চেয়ে থাকবো পাহাড়ের পানে, দেখবো
কি করে মেঘেরা পাহাড়ের কানে কানে বাক্যহীন কথা কয়।

কথা ছিল তুমি হবে আমার চাদরের মত, আর আমি হব তোমার।
জগতের সকল খরতাপ, অপরিচ্ছন্নতা আর লাজ-লজ্জা থেকে আড়াল
করবো একে অপরকে। এক জনমের, এক জীবনের যত চাওয়া পাওয়া-
সব সংজ্ঞায়িত হবে কেবলই নিজ জীবন সঙ্গীর একান্ত নিজস্ব অবয়বে।

কথা ছিল, লোকচক্ষুর অন্তরালে তুমি হবে আমার ছায়া-সঙ্গী বন্ধু।
গাঢ় অন্ধকারে, ছায়া দেখা না গেলেও, তোমার কামিনী-ফুল-সুবাস
আমায় জানিয়ে দেবে: তুমি আমার পাশেই রয়েছো কোথাও –
নীরবতা যেখানে অসহনীয় নয়, বরং কাঙ্খিত ও লোভনীয় অবকাশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *