এই হাত দু’টো কবিতা লেখার জন্য সৃষ্টি হয়নি।
এই মস্তিষ্ক কখনো বুদ্ধিবিক্রীর বেশ্যাবৃত্তি করতে চায়নি।
এই মনটা চেয়েছিল নির্ঝঞ্জাট একটা কর্মজীবী জীবন।
হাতুড়ী-বাটাল বা অতি সাধারণ আর কোন যন্ত্রপাতি
ব্যবহারে, নিতান্তই ছা-পোষা জীবিকার কোন আয়োজন।
মনটা চেয়েছিল, প্রকৃতির মাঝে একাকী, নিভৃত, একটা জীবন।

কিন্তু কোলাহোল থেকে বেঁচে থাকা আর হলো না –
অগত্যা কলম ধরতেই হলো, নাহলে বন্দুক ধরতে হতো।
যারা কথা কইতে জানতো, আর সত্যিই কিছু করতে পারতো,
তারা যখন প্রাপ্তির নেশায় চুর – ব্যস্ত টাকা-আনা-পাইয়ের হিসাবে।
তখন তাকেই হাতিয়ার তুলে নিতে হয়, যে ছিল পেছনের সারিতে –
মুখচোরা, একেবারেই আড়ালে থাকতো যে, তাকেই মুখর হতে হলো।
মুনাফিক্বির বিপরীতে সোচ্চার প্রতিবাদের শাব্দিক প্রয়াসে!
কতগুলো মানুষ যা বলে তা করে না, কিংবা যা করে তা বলেও না –
অথচ প্রতিবেশের তাবদ মানুষকে তারা “শ্রমিক-পিঁপড়া” জ্ঞান করে।
বুদ্ধি আর কথা বিক্রী করা বিনা পুঁজির ব্যবসার দাপটে –
সারা পৃথিবীকে পদানত রাখতে চায় তারা। কথার মারপ্যাঁচ আর
দ্ব্যর্থতায় – গণমানুষকে বোকা বানায় তারা প্রতিবার, বার বার।
তাদেরই রুখতে এই হাত দু’টো হাতুড়ি-বাটাল ছেড়ে কলম ধরেছে।
তাদেরই রুখতে এই হাত দু’টো অবশেষে কবিতাও ধরেছে!!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *