আমাদের জন্মভূমি এই দেশটা –
আমরা যাকে বাংলাদেশ বলি;
ছোট বা গরীব হলেও,
অনেকেই দেশটা নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে!
ড্যানিশ বা সুইডিশ পর্ণো-রাজ্যের বাসিন্দারা –
নিজেরা ধর্মকে এক প্রকার তালাক দিলেও –
এদেশে জমজমাট ধর্ম-ব্যবসায় খুলে খুবই
আশান্বিত – পার্বত্য এলাকায় আরেকটা
পূর্ব-তিমোর – এখন বুঝি কেবলই
সময়ের ব্যাপার মাত্র – প্রায় অনিবার্য!
ছোট বা গরীব হলেও –
দেশটা নিয়ে তারা আশায় বুক বেঁধেছে!

দেশটাকে অনেকে টাইফয়েড, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া,
ডায়রিয়া বা জন্ডিসের ডিপো মনে করলেও –
অক্সিডেন্টাল, ইউনিকোল, কেয়ার্ন বা নাইকো
অথবা শেভরন বা গ্যাসকো – অনেকেই –
ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে – আশান্বিত বলে!
আমাদের দেশটা ছোট বা গরীব হলেও-
দেশটাকে নিয়ে তারা আশায় বুক বেঁধেছে!

বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে আমরা চিন্তিত হলেও –
আশায় বুক বেঁধেছে টাটা, রিলায়েন্স বা এয়ারটেল।
নিজ ধর্মের গোঁড়ামি নিয়ে আমরা শংকিত হলেও,
আমাদের নিয়ে আশান্বিত এস.বাড়ৈ বা ডি-কোস্টারা;
আমাদের নিয়ে আশাবাদী জেসন দাস ও গোমেজরা ।
লালমনিরহাট, বোয়ালমারী বা কালিগঞ্জে তাই –
অবাধে চলছে খৃষ্টধর্মে নিবন্ধনের মহোৎসব!
শীতবস্ত্র, অন্ন, ঘরের চালা বা শিক্ষার আলো
অথবা সমুদ্রপারের ছাড়পত্রের প্রলোভন
ইত্যাদির আড়ালে চলছে বিশ্বাসের পণ্যায়ন!
ছোট বা গরীব হলেও – আমাদের দেশটাকে
নিয়ে তারা আশায় বুক বেঁধেছে!

এভাবেই আমাদের দেশটাকে নিয়ে
সবাই আশায় বুক বাঁধছে –
ড্যানিশরা, সুইডিশরা, সুইস বা জার্মানরা;
অথবা ব্রাহ্মণ্যবাদী রামরাজ্যের উত্তরাধিকারিরা।
আমাদের দেশটা ছোট বা গরীব হলেও-
দেশটাকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছে সবাই!
কেবল দেশটা আদতে ভারত ভেঙ্গে
যাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছিলো – আমরা –
বাংলাভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ ম্লেচ্ছরা ছাড়া!
সবার আশার কথা থাকলেও বুঝি
নিজবাসভূমে বৈষম্যের শিকার এই আমরা-
আমাদের জন্য বুঝি আশার আর কিছুই বাকী নেই!

[২/৩ দিন ঢাকার বাইরে থেকে ফিরে এসে হঠাৎই ঢাকায় এয়ারটেলের বেলুন উড়তে দেখে মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেল…।]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *